তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আগেই জানিয়েছিল— তারা (পাকিস্তান) প্রথমে সংঘর্ষ শুরু করবে না, কিন্তু আক্রমণ হলে কঠিন জবাব দেবে। ভারত গত ৯ মে গুরুতর ভুল করেছিল — আর আমরা সেটার উপযুক্ত জবাব দিয়েছি।
শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ন
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ভারত যদি সমতার ভিত্তিতে আলোচনা করতে চায়, তাহলে পাকিস্তান সবসময়ই প্রস্তুত। তবে ভারত বরাবরই আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখিয়েছে। একইসঙ্গে পাইলটের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার (১২ মে) হাম নিউজের টকশো “ফয়সালা আপ কা অনুষ্ঠানে” তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম হাম নিউজ। সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে, তা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু ভারত অহংকারী আচরণ করেছে। ”
ইসহাক দার আরও বলেন, পেহেলগাম হামলার পর ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে এবং পাকিস্তানে হামলা চালায়, যা দেশটির আগ্রাসী উদ্দেশ্যকেই স্পষ্ট করে তোলে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আগেই জানিয়েছিল— তারা (পাকিস্তান) প্রথমে সংঘর্ষ শুরু করবে না, কিন্তু আক্রমণ হলে কঠিন জবাব দেবে। ভারত গত ৯ মে গুরুতর ভুল করেছিল — আর আমরা সেটার উপযুক্ত জবাব দিয়েছি।
পাকিস্তানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় সামরিক শক্তির দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, শুধু রাফাল যুদ্ধবিমান থাকলেই হবে না, পাইলটের সাহস না থাকলে কিছুই হয় না। ভারত আঞ্চলিক আধিপত্য দেখাতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এই মুহূর্তে পাকিস্তান অঞ্চলিক কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। আমাদের সাহসী সেনারা জানে কীভাবে দেশের সম্মান রক্ষা করতে হয়। ”
ভারতের পাকিস্তানবিরোধী সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত অভিযোগের জবাবে ইসহাক দার বলেন, “সন্ত্রাসবাদে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানই।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, অপারেশন জরব-ই-আযব, রাদ-উল-ফসাদ এবং রাহ-এ-নাজাতের মতো সামরিক অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান সন্ত্রাস দমনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।